বুধবার, ০৯ Jul ২০২৫, ০১:০৮ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
শহর গ্রামে বেড়েছে চোরের উপদ্রব মহেশখালীর সব্বির আহমেদ, আব্দুল জলিল ও মৌলানা ইলিয়াসের মৃত্যুতে ডক্টর হামিদুর রহমান আযাদের শোক হোয়াইট হাউসের ধন্যবাদ পেল পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ‘ভালো’ বলা পর্যবেক্ষকদের আগামী নির্বাচনে পর্যবেক্ষণে না নেয়ার ইঙ্গিত সিইসির এসএসসির ফল প্রকাশ ১০ জুলাই দুপুর ২টায় প্রধান উপদেষ্টা ও তাসনিম জারাকে নিয়ে কটুক্তিকারী মেকানিক রেজাউল বরখাস্ত হিমছড়ি সৈকতে গোসল করতে নেমে শিক্ষার্থীর মৃত্যু কক্সবাজারে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি পালিত টানা বৃষ্টিতে কক্সবাজারে অর্ধশতাধিক গ্রামে জলাবদ্ধতা: দুর্ভোগে লক্ষাধিক মানুষ সময় থাকতে যত্ন নিন দাঁতের

আটকা নয়, দুর্ভোগে পড়েছে ৩০ হাজার পর্যটক

বিশেষ প্রতিবেদক:

আটকা নয়, দুর্ভোগে পড়েছে কক্সবাজারের ৩০ হাজারের বেশী পর্যটক। দেশব্যাপী পরিবহণ ধর্মঘটের কারণে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দুর্ভোগে পড়া পর্যটকদের জন্য হোটেল মোটেল মালিক সমিতি ৩০ শতাংশ ছাড় দেয়ার পাশাপাশি কক্সবাজার জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম পর্যন্ত পৌছে দেয়ার ব্যবস্থা নিয়েছে। ইতিমধ্যে অধিকাংশ পর্যটক আকাশ পথ ও ছোট যানবাহনে তাদেও গন্তবে পৌছেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সপ্তাহিক ছুটিতে বৃহস্পতি-শুক্র ও শনিবার হাতে রেখে কক্সবাজার আসেন লাখো পর্যটক। অনেকে পূর্বের নির্ধারিত সময়ানুসারে কক্সবাজার এসেছেন বৃহস্পতিবার। আবার শুক্রবার ভোরেও পৌঁছান অনেকে। যারা শুক্রবার ফিরে যাওয়ার সিডিউলে ছিলেন তারা এসেছিলেন আরও কয়েক দিন আগে। কিন্তু, হঠাৎ যান চলাচল বন্ধের ঘোষণায় পর্যটকরা পড়ে যায় দুর্ভোগে। কিন্তু কিছু কিছু পর্যটক ক্ষুদ্র যানবাহনে করে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে চট্টগ্রাম সহ বিভিন্ন গন্তব্যে পৌছেছেন।

কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: আবুল কাশেম সিকদার কক্সবাজার ভয়েসকে জানিয়েছেন, ‘কক্সবাজারে কোন পর্যটক আটকা পড়েনি। পড়েছে দুর্ভোগে। দুর্ভোগে পড়ে এসব পর্যটকদের জন্য হোটেল কর্তৃপক্ষ রুম বুকিংয়ের জন্য ৩০ শতাংশ ছাড় দিয়েছেন। গত দুইদিনে বেশীরভাগ পর্যটক আকাশ পথ ও বিভিন্ন ছোট যানবাহনে করে চলে গেছে। যেতে পারেনি এরকম ৩০ হাজারের বেশী হতে পারে। তবে এই সংখ্যক পর্যটক সবসময় কক্সবাজারের অবস্থান করে থাকে। সুতরাং পর্যটক আটকা পড়ার খবরটি সঠিক নয়।’

পরিবহণ ধর্মঘটের কারণে পর্যটন শিল্পের ক্ষতি কথা উল্লেখ করে মো: আবুল কাশেম সিকদার কক্সবাজার ভয়েসকে আরও জানান, ‘পূর্ব থেকে হোটেল রুম বুকিং দিয়ে যাদের শুক্রবার বিকালে পৌঁছার কথা ছিল, কিন্তু যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় কক্সবাজারে ভ্রমণে আসতে পারেননি। হঠাৎ দূরপাল্লার বাস বন্ধ হওয়াতে পর্যটকরা চরম বেকাদায় পড়েছেন। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরাও।

কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো: রফিকুল ইসলাম কক্সবাজার ভয়েসকে জানান, ‘পরিবহন ধর্মঘটের কারণে যে সমস্ত পর্যটক কক্সবাজারে বেড়াতে এসে দুর্ভোগে পড়েছেন তাদেরকে জেলা পুলিশের নিজস্ব পরিবহনে বিনা খরচে চট্টগ্রাম পর্যন্ত পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। এজন্য যারা ফিরতে ইচ্ছুক তাদের কক্সবাজার পুলিশ লাইনে এসে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে। সেখানে তাদের সহযোগিতা করার জন্য আমাদের লোকজন রয়েছেন।’

কক্সবাজার বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ কক্সবাজার ভয়েসকে বলেন, ‘গণপরিবহন বন্ধের বিষয়টি জাতীয় ইস্যু। এ ব্যাপারে সরকারের দ্রুত সিদ্ধান্ত আসার কথা। এরপরও কোনো অসুবিধায় পড়া পর্যটকরা প্রশাসনের সহযোগিতা চাইলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION